পাক্ষিক আহ্‌মদী পরিচিতি


পাক্ষিক আহমদী’ বাংলা ভাষায় প্রকাশিত একটি প্রাচীনতম পাক্ষিক পত্রিকা। আহমদীয়া মুসলিম জামাত, বাংলাদেশের মুখপত্র এই ধর্ম বিষয়ক পত্রিকাটির ইতিহাস আবহমান বাংলায় আহমদীয়াতের গোড়াপত্তনের ইতিহাসের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।ইসলামে আহমদীয়া মুসলিম জামাতের ধর্মবিশ্বাস প্রচারের পাশাপাশি এটি জামাতের বিবিধ কার্যক্রম এবং অগ্রগতির প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে।পবিত্র কুরআনের আলোকে, মহানবী (সা.)-এর সুন্নতের আদর্শে, যুগ-ইমামের আচরিত পথে এবং যুগ-খলীফার সময়োপযোগী আদেশ নির্দেশের ভিত্তিতে মানবিক মূল্যবোধের লালন এবং আধ্যাত্নিকতার প্রতিপালনই এর মূল উদ্দেশ্য।

১৯২২ সালে বুলেটিন আকারে কলিকাতা থেকে এটি প্রথমবার প্রকাশিত হয়।১৯২৫ সালে জনাব গোলাম সামদানী খাদেম সাহেব এর সম্পাদনায় এটি মাসিকভাবে প্রকাশিত হতে থাকে।পরে দৌলত আহমদ খাঁ খাদেম সাহেব এর সম্পাদক নিযুক্ত হন।এর অব্যবহিত পর ঢাকা থেকে এর প্রকাশনা শুরূ হলে জনাব আব্দুর রহমান খাঁ বাংগালী এর সম্পাদক নিযুক্ত হন।

১৯৩৮ সালের ফেব্রুয়ারী থেকে এটি পাক্ষিক আকারে প্রকাশিত হতে আরম্ভ করে এবং ১৯৫৭ সালে ৪ নং বকশী বাজার রোড, ঢাকার নিজস্ব ছাপাখানা থেকে এটি মওলানা মমতাজ আহমদ সাহেবের সম্পাদনায় নতুন অবয়বে প্রকাশিত হতে থাকে।১৯৫৮-১৯৬২ সাল পর্যন্ত এটি টেবলয়েট আকারে জনাব আহসানউল্লাহ্ সিকদার সাহেবের সম্পাদনায় নারায়নগঞ্জ থেকে প্রকাশ হয়।

এরপর পুনরায় ঢাকা থেকে ম্যাগাজিন আকারে জনাব এ, এইচ, এম আলী আনোয়ার সাহেবের সম্পাদনায় এবং পরে তাঁর অসুস্থ্যতাকালীন মওলানা আহমদ সাদেক মাহমুদ সাহেব এবং জনাব মকবুল আহমদ খান সাহেবের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয়।১৯৯২ সালে জনাব আলহাজ্ব আহমদ তৌফিক চৌধুরী সাহেব এর নির্বাহী সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন।এরপর থেকে তৎকালীন আমীর জনাব আলহাজ্ব আহমদ তৌফিক চৌধুরী সাহেব এর তত্ত্বাবধানে একটি সম্পাদনা পরিষদ এর দায়িত্ব পালন করতে থাকেন।এ পর্যায়ে জনাব মোহাম্মদ মোস্তফা আলী সাহেব, জনাব মুতিউর রহমান সাহেব যথাক্রমে উপদেষ্টা এবং সহকারী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৯৮-৯৯ সালে এই পরিষদ তদানিন্তন আমীর আলহাজ্ব মীর মোহাম্মদ আলী সাহেবের তত্বাবধানে কাজ করেন।এরপর ১৯৯৯ তে মওলানা আহমদ সাদেক মাহমুদ সাহেব ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক এবং জনাব মোহাম্মদ মুতিউর রহমান সাহেব এর নির্বাহী সম্পাদক নিযুক্ত হন।

১৯৯৮ সালে পাক্ষিক আহমদী কম্পিউটার জগতে প্রবেশ করে এবং নতুন কলেবরে আধুনিক মানসম্মতভাবে প্রকাশিত হতে থাকে।

২০০৪ সালে বাংলাদেশ সরকার পত্রিকাটি প্রকাশনার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যা কিছুকাল পর হাইকোর্টের রায়ে বাতিল হয়ে যায়।

২০০৮ সালে এটি ইন্টারনেটের জগতে প্রবেশ করে একটি আন্তর্জাতিক পাক্ষিকের মর্যাদা লাভ করে।